নরসিংদী জেলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর্শীয় স্হানঃ

 

 

ওয়ারী বটেশ্বরঃ       

 

নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার অমলাব ইউনিয়নে অবস্হিত। অসম রাজার গড় নামে এটি সমাধিক পরিচিত। প্রত্নতত্ত্ববীদ গবেষকগণ ধারনা করেন যে এটি প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন  এখানে প্রচীন শিলালিপি মূদ্রাসহ অনেক সভ্যতার নিদর্শন পাওয়াগেছে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্বাবধানে এখনো খনন কাজ চলছে। এখানে পর্যটকদের জন্য রেষ্ট হাউস করা হচ্ছে

 

 

বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান যাদুঘরঃ

 

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সোননী বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান এর জন্মস্হান জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য এখানে স্হাপিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান যাদুঘর। 

 

সোনাইমুড়ি টেকঃ     

লাল মাটির পাহাড়ি টিলা সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। ঢাকাসিলেট মহাসড়কের পাশে জেলার শিবপুর উপজেলায় অবস্হিত

 

অশ্রাবপুর মসজিদঃ   

 

আশ্রাবপুরে নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন নসরশাহের রাজত্ব কালে নির্মিত অতি প্রাচীন মসজিদ। এটি জেলার শিবপুর উপজেলার আশ্রবপুরে অবস্হিত

 

 

বেলাব বাজার জামে মসজিদঃ

 

জেলার বেলাব উপজেলা সদরে অবস্হিত আধুনিক স্হাপত্য কর্ম। কেবলমাএ মুসলমানরাই নন অন্যান্য ধর্মাবলম্বী পর্যটকগণ এটি দেখতে দুরদুরান্ত থেকে এখানে এসে থাকেন

 

শাহ ইরানি মাজারঃ  

 

বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নে অবস্হিত। হযরত শাহ ইরানী এঁর মাজার শরীফ। দুরদুরান্ত থেকে অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ এখানে উপাসনা করতে আসেন। পর্যটকদের জন্যও এটি লোভনীয়

 

 

 

দেওয়ান শরীফ মসজিদঃ

 

জেলার পলাশ উপজেলায় অবস্হিত। ১৭১৬ সালে স্হাপিত পাঠান স্থাপত্যর নিদর্শন। দেওয়ান ঈশাখাঁর পরবর্তী বংশধর দেওয়াশ শরীফ খাঁ এটি নির্মাণ করেন।

 

ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাস্তুভিটাঃ

 

ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে পাঁচদোনা বাজার সংলগ্ল বুড়ারহাট গ্রামে পবিত্র কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বুড়ারহাটস্থ বাস্ত্তভিটা। গিরিশ চন্দ্র সেন ছিলেন একজন সাহিত্যিক, গবেষক ভাষাবিদ। তিনি প্রায় সকল ধর্মগ্রন্ নিয়ে গবেষণা করেছেন। ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য মহান ব্যক্তির বাস্তুভিটা বেশ সমাদৃত হয়ে আসছে

 

রাজবাড়ী জেলা

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

জবাড়ী সদর উপজেলা
গোয়ালন্দ উপজেলা
পাংশা উপজেলা
বালিয়াকান্দি উপজেলা

চিত্তাকর্ষক স্থান

চাঁদ সওদাগরের ঢিবি, বেলগাছী
কল্যানদিঘি
গোয়ালন্দ ঘাট, The Gate of Bengal নামে পরিচিত। গোদারবাজার, রাজবাড়ী

Archeological relics and monuments Sawdagar Divi (mound) (marks the memory of Chand Sawdagar, a leading hero of the epic Manasamangal ),

tomb of Kamal Shah Awlia ( darvish ),

tomb of the sufi devotee Shah Jui located at Pangsha,

an old porch at Mathurapur of Baliakandi upazila.

দর্শনীয় স্থান

১। শাহ পাহলোয়ানের মাজারঃ রাজবাড়ী অঞ্চলে ষোড়শ শতকে ধর্ম প্রচারের জন্য আগমন করেন শাহ পাহলোয়ান এর মত আউলিয়ারা। ১৪৮০ হতে ১৫১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শাহ পাহলোয়ান বোগদাদ শরীফ পরিত্যাগ করে ফরিদপুর অঞ্চলে এসে চন্দনা নদীর তীরে বাসস্থান নির্মাণ করে উপাসনা করছিলেন। কথিত আছে শাহ পাহলোয়ান মৃত্যুর সময় শিষ্যদের তার কবর পূর্ব-পশ্চিম লম্বা-লম্বি দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তার শিষ্যবর্গ প্রচলিত বিধানমতে যথানিয়মে তাকে কবরস্থ করেন। কিন্তু সকালে দেখা গেল তার কবর ঘুরে পূর্ব-পশ্চিম লম্বা-লম্বি হয়ে গিয়েছে। শাহ পাহলোয়ানই রাজবাড়ী অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের ভিত রচনা করে গেছেন

২। দাদ্শী মাজার শরীফঃ রাজবাড়ী শহর থেকে রেল লাইন ধরে পূর্বদিকে কিঃমিঃ দূরে দাদ্শী খোদাই দরগা। ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে কামাল শাহ নামক এক আউলিয়া ষোড়শ শতকে এতদঞ্চলে আগমন করেন।। ১৮৯০ সালে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত রাজবাড়ী রেল লাইন স্থাপনের সময় জঙ্গলের মধ্যে দরগাটির সন্ধান মিলে। সেই হতে দরগাটি অঞ্চলের মানুষ খোদাই দরগা নামে কামাল শাহ আউলিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন

৩। জামাই পাগলের মাজারঃ রাজবাড়ী শহরের কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে আহলাদিপুর মোড়ে জামাই পাগলের স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে একটি শেড নির্মিত হয়। ১৯৬০ সালের দিকে জামাই পাগল নামে এক ব্যক্তিকে সেখানে নেংটি পরা অবস্থায় শেওড়া গাছের নীচে মজ্জুম অবস্থায় দেখা যেত। তাকে কেহ প্রশ্ন করলে তিনি একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করতেন। তার মৃত্যুর পর উক্ত স্থানে জামাই পাগলের মাজার নামে একটি মাজার গড়ে উঠেছে। লোকশ্রুতি আছে জামাই পাগল এক বোবা মেয়েকে পানিতে চেপে ধরে ছেড়ে দিলে সে কথা বলতে শুরু করে

৪। নলিয়া জোড় বাংলা মন্দিরঃ বালিয়াকান্দি থানার নলিয়া গ্রামে একটি জোড় বাংলা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এর গঠন বিচিত্র। মন্দিরটি ১৭০০ সালে তৈরী বলে পন্ডিতগণ মনে করেন

৫। সমাধিনগর মঠ ( অনাদি আশ্রম) বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নে ১৯৪০ সালে স্বামী সমাধী প্রকাশরণ্য মঠটি নির্মাণ করেন যার উচ্চতা ৭০ ফুট (গম্বুজসহ), দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট এবং প্রস্থ ৫০ ফুট। এটি অনাদি আশ্রম বলে পরিচিত। স্বামীজী আশ্রমের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে আলোর পথে অগ্রায়ণ করে গেছেন

৬। রথখোলা সানমঞ্চঃ রাজবাড়ী শহর থেকে দুই স্টেশন পশ্চিমে প্রাচীন হড়াই নদীর তীরে বর্তমান পদ্মার কাছাকাছি বেলগাছি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। বেলগাছির অদূরে হাড়োয়ায় স্থাপিত হয়েছে কষ্টি পাথরের মদন মোহন জিউর। মদন মোহন এর মূর্তিটি পাল আমলের। বেলগাছিতে রাম জীবনের নামে গড়ে ওঠে আখড়া। রাম জীবনের স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে সেখানে সানমঞ্চ দোলমঞ্চের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে

৭। নীলকুঠিঃ ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর নীলকরদের অত্যাচার আরো বৃদ্ধি পায় এবং প্রজা সাধারণ অতিষ্ট হয়ে সংঘবদ্ধভাবে নীলকরদের বিরূদ্ধে রুখে দাড়ায়। শুরু হয় নীলবিদ্রোহ। রাজবাড়ীতে  নীলবিদ্রোহ সংঘটিত হয়। সময় বালিয়াকান্দি থানার সোনাপুরের হাশেম আলীর নেতৃত্বে শত শত চাষী নীলকর জমিদারদের বিরূদ্ধে নীল বিদ্রোহে অংশ নেয়। বহু স্থানে নীলকুঠি আক্রমণ করে কাচারী জ্বালিয়ে দেয়। অঞ্চলের বসন্তপুর, বহরপুর, সোনাপুর, বালিয়াকান্দি, নাড়ুয়া, মৃগী, মদাপুর, সংগ্রামপুর, পাংশার নীলচাষীরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। ফলে ১৮৬০ সালে বৃটিশ সরকার নীল কমিশন বসান এবং নীল চাষ স্বেচ্ছাধীন ঘোষণা করেন। ধীরে ধীরে কৃত্রিম নীল উদ্ভাবিত হয় এবং প্রাকৃতিক নীল চাষ বন্ধ হয়ে যায়

৮। মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রঃ বিষাদ সিন্ধু খ্যাত মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি বিজড়িত পৈত্রিক নিবাস পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন  তার স্ত্রীর  সমাধিকে ঘিরে ১৯৯৯ সালে তৈরী করা হয় মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন দুই কোটি তিপান্ন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয়ে  দুই একর জমির উপর  স্মৃতি কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয় নির্মিত এই স্মৃতি কেন্দ্রে একটি পাঠাগার, একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অতিথি কক্ষ, সভা কক্ষ, মিউজিয়াম, ডাইনিং রুম প্রভৃতি তৈরী করা হয়েছে। মীরের আবক্ষ মূর্তি যে কোন  দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্মৃতি কেন্দ্রে মীর ভক্তদের পাশাপাশি শীত মৌসুমে প্রচুর পর্যটকের ভীড় জমে

৯। দৌলতদিয়া ঘাটঃ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বরিশাল পদ্মা নদী দ্বারা বিভক্ত। ঢাকা হতে দক্ষিণাঞ্চলে এসব জেলায় পৌছাতে হলে দৌলতদিয়া ঘাট অতিক্রম করা অপরিহার্য। ব্রিটিশ ভারতে গোয়ালন্দ বাংলার পশ্চিম আর পূর্বের সেতু বন্ধন হিসেবে বাংলার দ্বার নামে পরিচিত ছিল। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার সেতুবন্ধন হিসেবে দৌলতদিয়া ঘাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে  আসছে।প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ঘাট পার হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে

 

শরিয়তপুর জেলা

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

শরিয়তপুর জেলা ৬টি উপজেলা, ৫টি মিউনিসিপ্যালিটি, ৬৪টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৪৫টি ওয়ার্ড, ৯৩টি মহল্লা, ১২৩০টি গ্রাম এবং ৬০৭টি মৌজা নিয়ে গঠিতএই জেলা ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হল,

ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তুল্লাহ- নাম অনুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়

চিত্তাকর্ষক স্থান   ফতেহ্জংপুর দুর্গ, মুঘল আমলের বিলাসখান মসজিদ, মহিষের দিঘী, দক্ষিণ বালুচর মসজিদ

Places of Interest

01. Fatehjongpur Fort

02. Kedarbari at Kedarpur, Naria

03. Burir Hat Mosque

04. Rathindra Kanto Ghatak Chowdhury's Home, South Baluchara, Shariatpur

05. Haturia and Kartikpur Zamindar bari.

06. Mahishar dighi

07. DC banglow

08. Cricuit House

09. South Baluchara Mosque, Sadar

10. Bilaskhan Mosque (Mughal period), Sadar 

দর্শনীয় স্থান

মগরঃ প্রখ্যাত কবি গীতিকার অতুল প্রসাদ সেনের জন্মস্থান। মাতৃভাষা বাংলার প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা তাঁর রচিত অমর গান ‘‘মোদের গরব মোদের আশা, -মরি বাংলা ভাষা’’

মহিষারের দীঘিঃ দক্ষিণ বিক্রমপুরের এককালীন প্রখ্যাত স্থান। চাঁদ রায়, কেদার রায়ের নির্দেশে এখানে পানীয় জলের জন্য কয়েকটি দীঘি খনন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ হতে এখানে এক সপ্তাহের জন্য মেলা হয়। দিগম্বরী সন্ন্যাসীর মন্দিরও এখানে রয়েছে। সুপ্রসিদ্ধ নৈয়ায়িক গঙ্গাচরণ ন্যায় রত্নের বাসস্থান

রাজনগরঃ বৈদ্য প্রধান স্থান। ফরিদপুরের ইতিহাস লেখক আনন্দ চন্দ্র রায়, ঢাকার ইতিহাস লেখক যতীন্দ্র নাথ রায় ঢাকার বিশিষ্ট উকিল গুপ্ত এর জন্মস্থান। এখানকার অভয়া শিবলিঙ্গ বিখ্যাত

কুরাশিঃ রাজা রাজবল্ল­ভের বংশধরগণের কেউ কেউ এখানে বাস করতেন বলে জানা যায়। বেশ কয়েকটি মন্দির শিবলিঙ্গ মূর্তি এখানে রয়েছে

 

বুড়ির হাটের মসজিদঃ জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার বুড়ির হাট মসজিদটি খুবই বিখ্যাত এবং ইসলামী স্থাপত্যকলার নিদর্শন

 

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি শরীয়তপুর সদর হয়ে বুড়ির হাট মসজিদ

 

সম্ভাব্য খরচঃ ২০০ (দুইশত) টাকা।

আবাসন ব্যবস্থাঃ শরীয়তপুর সদর ব্যতীত বুড়ির হাট থাকার কোন সু-ব্যবস্থা নেই

 

হাটুরিয়া জমিদার বাড়িঃ

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি শরীয়তপুর সদর হয়ে গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া জমিদার বাড়িতে যাওয়া যাবে।

সম্ভাব্য খরচঃ ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) টাকা।

আবাসন ব্যবস্থাঃ গোসাইরহাট উপজেলায় থাকা খাওয়ার কোন সু-ব্যবস্থা আছে।

 

রুদ্রকর মঠঃ দেড়শত বছরের পুরনো এই মঠটি শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে অবস্থিত। এই মঠটি দেখার জন্য বহু লোক আসে।

 যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি শরীয়তপুর সদর বাসস্টান্ড থেকে মনোহর বাজার দিয়ে বালার বাজার নেমে রুদ্রকর মঠ যাওয়া যাবে।

সম্ভাব্য খরচঃ ২০০ (দুইশত) টাকা

আবাসন ব্যবস্থাঃ শরীয়তপুর সদর উপজেলায় থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

 

রাম সাধুর আশ্রমঃ শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে অবস্থিত। এখানে শত বছরের পুরানো এই আশ্রমটি এই ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নই গোলক চন্দ্র সার্বভৌম শ্রীযুক্ত কালি কিশোর স্মৃতি রত্ন মহাশয়ের বাসস্থান। প্রতি বছর শীতের শেষে এই আশ্রমকে কেন্দ্র করে তিন দিনের মেলা বসে। ছাড়াও ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের কার্তিকপুরের জমিদার বাড়ি বিখ্যাত।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি নড়িয়া উপজেলার হয়ে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের রামসাধুর আশ্রমে যাওয়া যাবে।

সম্ভাব্য খরচঃ ২২০ (দুইশত বিশ) টাকা

আবাসন ব্যবস্থাঃ নড়িয়া উপজেলা রামসাধুর আশ্রমে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

 

ছয়গাঁও-জমিদার বাড়ীঃ শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ছয়গাঁও ইউনিয়নে জমিদার বাড়ী অবস্থিত।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি ভেদরগঞ্জ উপজেলা হয়ে ছয়গাঁও ইউনিয়নের জমিদার বাড়ীতে যাওয়া যাবে।

সম্ভাব্য খরচঃ ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) টাকা

আবাসন ব্যবস্থাঃ ভেদরগঞ্জ উপজেলায় থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

 

ফতেজংগপুর ঐতিহাসিক মানসিংহের দুর্গের ভগ্নাবশেষ      মানসিংহের বাড়ীঃ নড়িয়া উপজেলায় ফতেজংগপুর ঐতিহাসিক মানসিংহের দুর্গের ভগ্নাবশেষ রয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি নড়িয়া উপজেলার হয়ে ফতেজংগপুর ইউনিয়নের মানসিংহের দুর্গের ভগ্নাবশেষ এর স্থানে পৌছানো যাবে।

সম্ভাব্য খরচঃ ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) টাকা

আবাসন ব্যবস্থাঃ নড়িয়া উপজেলায় থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

 

ভোজেস্বরে কষ্ঠিপাথরে উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গঃ উপমহাদেশের শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নে কষ্ঠিপাথরের সর্ববৃহ শিবলিঙ্গটি পাওয়া গেছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি নড়িয়া উপজেলার  ভোজেশ্বর এর শিবলিঙ্গের কাছে পৌছানো যাবে।

সম্ভাব্য খরচঃ ২০০ (দুইশত) টাকা

আবাসন ব্যবস্থাঃ নড়িয়া উপজেলায় থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

 

সুরেশ্বর দরবার শরীফঃ শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরে মাওলানা জান শরীফের মাজার অবস্থিত। এখানে প্রতি বছর শীতের শেষে তিন দিনের ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং বহু ভক্তের সমাগম হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি নড়িয়া উপজেলায় পৌছানোর পর ট্যাম্পু বা বেবী যোগে সুরেশ্বর দরবার শরীফ পৌছানো যাবে অথবা ঢাকার সদর ঘাট হতে লঞ্চ যোগে সরাসরি সুরেশ্বর লঞ্চ ঘাটে নামার পর রিক্সা যোগে দরবার শরীফ যাওয়া যাবে।

সম্ভাব্য খরচঃ ২০০ (দুইশত) টাকা, নদী পথে ১০০ (একশত) টাকা।

আবাসন ব্যবস্থাঃ নড়িয়া উপজেলাসহ উক্ত দরবার শরীফে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

 

 

পন্ডিতসার মাজার শরীফ, পন্ডিতসারঃ এই স্থানে শ্যামপুরি হুজুরের মাজার শরীফ অবস্থিত। পৃথিবীর বহুস্থান থেকে এখানে লোক সমাগম হয়ে থাকে। প্রতি বছর ১১ পৌষ হতে তিন দিনের ওরস হয়। ছাড়া  পহেলা জ্যৈষ্ঠ তারিখে হযরত শাহ্ সূফি সৈয়দ গোলাম মাওলা হোসায়নী চিশতী শ্যামপুরী (:) বা শ্যামপুরী হুজুর এর আবির্ভাব দিবস হিসেবে রোজে মোকাদ্দাস দিবস হিসাবে পালিত হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি নড়িয়া উপজেলায় পৌছানোর পর ট্যাম্পু বা বেবী যোগে পন্ডিতসার মাজার শরীফ পৌছানো যাবে অথবা ঢাকার সদর ঘাট হতে লঞ্চ যোগে সরাসরি সুরেশ্বর লঞ্চ ঘাটে নামার পর ট্যাম্পু যোগে পন্ডিতসার মাজার শরীফ যাওয়া যাবে।

সম্ভাব্য খরচঃ ২৪০ (দুইশত চল্লিশ) টাকা, নদী পথে ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) টাকা।

আবাসন ব্যবস্থাঃ নড়িয়া উপজেলাসহ উক্ত মাজার শরীফে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

 

ধানুকার মনসা বাড়িঃ চন্দ্রমনি ন্যায়, ভুবন হরচন্দ্র চুড়ামনি মহোপাধ্যায়, শ্রীযুক্ত বামাচরণ ন্যায় প্রভৃতির জন্মস্থান ধানুকায়। এখানকার শ্যামমূর্তি জাগ্রত দেবতা বলে কিংবদন্তী রয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে মাওয়া আসার পর লঞ্চ, সী-বোট, ট্রলার বা ফেরী যোগে নদী পারাপার হয়ে মাঝির ঘাট। মাঝির ঘাট থেকে বাস যোগে সরাসরি শরীয়তপুর সদর উপজেলায় আসার পর রিক্সা যোগে ধানুকা মনসা বাড়ি যাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

সম্ভাব্য খরচঃ ১৮০ (একশত আশি) টাকা।

আবাসন ব্যবস্থাঃ শরীয়তপুর সদর উপজেলায় থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

Make a Free Website with Yola.